ফতুল্লা সংবাদদাতা : করোনা সংক্রমন রোধে কঠোর লকডাউনে নারায়ণগঞ্জের সদর উপজেলার ফতুল্লায় হাটে-মাঠে-বাজারে পুলিশ, বিজিবি ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা কাজ করছেন। দিনমজুর খেটে খাওয়া মানুষগুলো পড়েছে বিপাকে। এর বাইরে রিকশাওয়ালারাও নয়। প্রতিদিনের মত রিকশাচালক সুমনও বের হয়েছেন রিকশা নিয়ে। কারণ তিনি যদি টাকা রোজগার করতে না পারেন তাহলে তার পরিবারের সদস্যদের না খেয়েই থাকতে হবে। আর রিকশা নিয়ে বের হয়েই মার খেতে হয় ভারপ্রাপ্ত এক মেম্বারের কর্মীদের হাতে। শনিবার ৩ জুলাই ফতুল্লার পোস্টঅফিস রোডে ফতুল্লা ইউপির ভারপ্রাপ্ত মেম্বার রাসেলের কর্মীদের হাতে রিকশাচালক মারধরের শিকার হন।

এ বিষয়ে মারধরের শিকার রিকশাচালক সুমন বলেন, আমি ফতুল্লা রেলস্টেশন থেকে পোস্টঅফিসের মোড়ে যাই। তারপর রাস্তা বন্ধ দেখে রিকশা ঘুরিয়ে আসতে গেলে তারা আমার মাস্ক টেনে ছিড়ে ফেলে ও ৪/৫টি থাপ্পড় মারে।

এ বিষয়ে মোঃ হাসান আরো বলেন, মেম্বারের পুলাপাইনরা মারছে। ওইখানে মেম্বারও ছিলো। রিকশাওয়ালাদের মারধর করেছে। শরীরে হাত দেওয়ার অধিকার নাই। এটা কিন্তু অন্যায়।

এ বিষয়ে ফতুল্লা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান খন্দকার লুৎফর রহমান স্বপনের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তিনি ফোনটি রিসিভ করেননি।